দাউদকান্দিতে কিশোরীকে গণধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১টায় দাউদকান্দি মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফয়েজ ইকবাল। তিনি জানান ১৯ সেপ্টেম্ভর বিকাল ৪ টায় দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর ভূঁইয়া সরকারি মোবাইল নাম্বারে স্থানীয়রা কল করে একটি মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পরে থাকার তথ্য দেয়। তাদের তথ্যে গৌরীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম হুগলিয়া মার্কাজ মসজিদ সড়কের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ভিক্টিমের জ্ঞান ফিরলে তার দেওয়া তথ্যে প্রথমে মিরাজুল ইসলাম শরিফ(১৯) নামে একজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়। আটক কৃত মিরাজ শরীফের তথ্যের ভিত্তিতে ধর্ষণে অংশ নেওয়া অপু (২৬) ও পাহারা দিয়ে সহযোগিতা করা মোখলেছ (২৫) কে আটক করা হয়। সহকারী পুলিশ সুপার আরো জানান ১৭ই সেপ্টেম্বর মিরাজ শরীফের সাথে পরিচয় হয় মেয়েটির। সেদিনই মোবাইল ফোনে দুজনের মধ্যে কথা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর মেয়েটিকে চাকরির প্রলোভন দেখায় মিরাজ শরীফ। ১৯ সেপ্টেম্বর চাকরিতে যোগদানের কথা বলে মেয়েটিকে ওই স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সড়কের পাশে থাকা জনৈক আশরাফের জমির জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে আরো ৪ সহযোগীকে নিয়ে মোট ৫ জন ধর্ষক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এসময় লোকজন পাহারা দিয়ে ধর্ষণের সহযোগিতা করে অভিযুক্ত মুখলেস। ধর্ষণ শেষে মেয়েটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পড়ে মেয়েটি নিজ চেষ্টায় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রাস্তার পাশে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনা ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ভিকটিমের বাবা দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ধর্ষক মিরাজুল ইসলাম শরীফ উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের হুগলিয়া গ্রামের সাত ভাই বাড়ির মোহাম্মদ আলীর ছেলে। ধর্ষক অপু একই গ্রামের ব্যাপারী বাড়ির মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে। ধর্ষণে সহযোগী মোখলেস একই গ্রামের মৃত বারেক মিয়ার ছেলে। তদন্তের স্বার্থে অপর তিন আসামির নাম প্রকাশ করা হয়নি। ধর্ষিত মেয়ের নাম পরিচয় কিছুই প্রকাশ করা হয়নি।
Leave a Reply