কাউনিয়া উপজেলা প্রতিনিধি: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ জয়বাংলা বাজার নামক এলাকায় কবরস্থানে মৃত নারীর কবর থেকে সফিকুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে কাছে সোপর্দ করেছেন সম্পাদক সম্পাদক সাহেব সাহেব সাতে আলো করা যায় প্রতি স্থানীয়রা। আজ শুক্রবার (০৩ মার্চ) সকালে উপজেলার হারাগাছ পৌর এলাকার জয়বাংলা বাজার সরকারি পাবলিক কবরস্থান থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত সফিকুল ইসলাম উপজেলার হারাগাছ পৌর এলাকার ধুমেরকুঠি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবুজারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার ভোরের দিকে স্থানীয় লোকজন সরকারি কবরস্থানে একজন নারীর কবরের এক পার্শের মাটি খুঁড়া দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় লোজনের সহযোগিতায় সফিকুল ইসলামকে কবরের ভিতর থেকে টেনে বের করে। ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে উৎসক জনতার ভিড় বারে । পরে উৎসক লোকজন ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। পরে সফিকুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
সারাই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার (১ মার্চ) তার ওয়ার্ডের ধুমেরকুঠি চাদমিয়া পাড়া গ্রামের মৃত আছিমুল্যা হাগুড়ার স্ত্রী সবিরন নেছা (৮৬) মারা যায়। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে জানাজা শেষে তাঁকে জয়বাংলা বাজার সরকারি পাবলিক কবরস্থানে দাফন করেন পরিবারের লোকজন। শুক্রবার সকালে স্বজনরা কবর জিয়ারত করতে গিয়ে কবরের মাটি খুঁড়া এবং মানুষের গোগানো শব্দ পেয়ে ভয়ে সেখান থেকে ফিরে বাড়ীতে পরিবারের লোকজনকে জানায়। নিহতের স্বজনরা কবরস্থানে গিয়ে কবরের ভিতরে মৃত ব্যক্তির মরদেহের পাশে ওই যুবককে বসে থাকতে দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে ওই যুবককে কবর থেকে উদ্ধার করে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে কবর থেকেই কঙ্কাল চুরির চেষ্টা ঘটনা নয় এটি।
স্থানীয়রা বলেন, আটক ওই যুবক নেশাগ্রস্থ। নেশায় আশক্ত হয়ে এখন সে মানসিক রোগি। আজ সে কবর খুঁড়ে কবরের ভিতরে মৃত এক বৃদ্ধা নারীকে কোলে নিয়ে বসে ছিল। নেশার টাকা না পেয়ে ওই যুবক প্রায় এলাকায় মানুষের জিনিষপত্র ক্ষতি করতো। মেম্বাররা কয়েকবার তাঁর সালিশ বিচার করেছে।
রংপুর মেট্টোপলিটন হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, এ ঘটনায় ধর্মানুভূতিতে আঘাত এবং কবরস্থানে অনধিকার প্রবেশ করে মৃতদেহের অসম্মান করার অপরাধে মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার আটক সফিকুলকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
Leave a Reply