
শাহজান খন্দকার, স্টাফ রিপোর্টার
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলাধীন বজরা ইউনিয়নের ১নং খামার দামার হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শোকজ।
বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ যেন বাদাম শুকানোর উপযুক্ত স্থান। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করে ৭ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছে শিক্ষা বিভাগ।
গত ২ জুলাই উলিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মামুনুর রশিদকে শোকজ করে, জানতে চান বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের বারান্দা ও বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ কেন বাদাম শুকানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থেকে কিভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ১ নং খামার দামার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। অত্র বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমান প্রধান শিক্ষক সহ স্টাফ সংখ্যা চার জন।
গত (২০ জুন) মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল চলাকালীন সময়ে উপস্থিত হয়ে বাস্তবে দেখা যায় বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধ। পরে সাংবাদিকের উপস্থিতি বুঝে তড়িঘড়ি করে সহকারী শিক্ষক জুথি বেগম, পারভিন বেগম ও সহকারী শিক্ষক লতিজার রহমান বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। কিন্তু বিদ্যালয়ে বাস্তব চিত্র দেখা যায় একজনও ছাত্র-ছাত্রী নেই। এছাড়া বিদ্যালয়ের বারান্দায় বাদাম শুকানোর ধুম চলছে।
এ সময় প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ অনুপস্থিত ছিলেন। সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পায়। এলাকাবাসীর একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ নিজের দাপট ও বাবা মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিষ্ঠানটিকে অন্তঃসারশূন্যে পরিণত করেছেন।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে তারা জানান, শিক্ষকগণ সকাল ৯ ঘটিকার সময় উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকা সত্বেও, স্কুল উপস্থিত হন সকাল ১১ টায় এবং ছুটি দেন দুপুর একটায়। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে গরিমসি করেন প্রধান শিক্ষক সহ সহকারী শিক্ষকগণ। দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বেশীর ভাগেই উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উলিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আমির হোসেন এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঐ প্রধান শিক্ষককে এ শোকজ নোটিশ প্রদান করেন।