জে এইচ সোহাগ কাউনিয়া (রংপুর)প্রতিনিধিঃ
উৎপাদন খরচ কমানো, অপচয় রোধ, শ্রমিকের অভাব পূরণ ও ফসলের উৎপাদন বাড়াতে প্রথমবারের মতো নয়া উদ্যোগ নিয়েছে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগ।
এজন্য ট্রে-তে বীজতলা করে সেই বীজদিয়ে শুরু হয়েছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা রোপণ। এরপরেই সেই ধান কাটা হবে কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে।
এই পদ্ধতিতে রোপন করতেই প্রতি একর জমিতে কৃষকের লাভ হবে প্রায় দেড় হাজার টাকা।
গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার শিবু চওরাপাড়া গ্রামের ৫০জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে ব্রি-৭৪ জাতের বোরো ধান চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু করে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ জানায়, কৃষি যান্ত্রিকীকরন প্রকল্পের মাধ্যমে সমলয়ে চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরিতে ২ হাজার ২০০টি প্লাস্টিক ট্রে ব্যবহার করা হয়েছে । এই ধরনের বীজতলা তৈরিতে ২ সেন্টিমিটার জৈব সার মিশ্রিত মাটি ভরাট করে কাঠ দিয়ে সমতল করে মাটিতে স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রেতে ১২০ থেকে ১৫০ গ্রাম অঙ্কুরিত বীজ বপন করে দশমিক ৫ সেন্টিমিটার মাটি দিয়ে বীজ ঢেকে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শৈত্যপ্রবাহের হাত থেকে রক্ষা করতে স্বচ্ছ সাদা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢাকা হয়েছে।
ছামছুল হক নামে এক কৃষক জানান, এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে ধানের চারাসহ বিঘা প্রতি খরচ ১০০০থেকে ১২০০টাকা আর আগের পদ্ধতিতে খরচ চারা সহ ২২০০থেকে২৪০০ পর্যন্ত হতো, তাতে লাভ হবে আমাদের।
সিবু চওড়াপাড়া কৃষক সমিতির সভাপতি রমজান আলী জানান, এই পদ্ধতি নতুন। বীজতলা রোপন করতেই খরচ কম হবে। স্যাররাও বলেছেন উৎপাদন বাড়বে, তারা সহযোগিতা করবে। এই কারণে আমরা সমবায়ের মডেল অনুসরণ করে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং সকল প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষকের সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ শুরু করছি।
কাউনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোছাঃ শাহানাজ পারভিন সাথী জানান, এই কর্মসূচীতে সরকারিভাবে বীজ রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। এবছর কাউনিয়ায় প্রায় ৭ হাজার৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হবে।