
জনসংযোগ অনলাইন ডেক্সঃ
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে ৫০ কোটি ডলারের মামলা করেছেন তার সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে। ট্রাম্প বলছেন, ব্যক্তিগত আইনজীবী হিসেবে তার স্বার্থ রক্ষা করার যে দায়িত্ব কোহেনের ছিল, তিনি তা করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট, যাকে ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গত ৪ এপ্রিল তিনি ম্যানহাটনের আদালতে হাজির হন এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্কের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গোপনে অর্থ দেয়ার যে মামলায় ট্রাম্প সম্প্রতি অভিযুক্ত হয়েছেন, সেই মামলায় অন্যতম প্রধান সাক্ষী কোহেন। গত বুধবার ফ্লোরিডার ফেডারেল আদালতে করা ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মাইকেল কোহেন নিজের স্বার্থে তার সাবেক মক্কেল ট্রাম্প ও তার পরিবার এবং তার ব্যবসা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন।
এক দশকের বেশি সময় ধরে ট্রাম্পের অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করেছেন কোহেন। তিনি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের একজন ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন। তাকে বলা হত ট্রাম্পের ‘ফিক্সার’, অর্থাৎ সাবেক প্রেসিডেন্টের ভুলগুলো মিটমাট করাই ছিল তার কাজ।
সাবেক পর্নো তারকা ড্যানিয়েলসের দাবি, ট্রাম্পের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক ছিল এবং ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ওই বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্প তার আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। তবে জালিয়াতি এবং ভোটের প্রচারের চাঁদা সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগে দোষ স্বীকার করে নেয়ায় ২০১৮ সালে মাইকেল কোহেনের তিন বছরের জেল হয়। সে সময় তিনি প্রসিকিউটরদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিলেন, ট্রাম্পের ফিক্সার হিসেবে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে জেল খেটে বেরিয়ে কোহেন এখন আবির্ভূত হয়েছেন ট্রাম্পের একজন কট্টর সমালোচক হিসেবে। বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি নিয়মিত কথাও বলছেন। ইতিমধ্যে তিনি একটি বই লিখেছেন এবং একটি পডকাস্টেরও তিনি হোস্ট ছিলেন। এ বিষয়গুলোও ট্রাম্প তার মামলায় উল্লেখ করেছেন।