ওসমান গনি,স্টাফ রিপোর্টার:
মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া উপজেলা চার মাস শান্ত থাকার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গজারিয়ার হোসেন্দী ইউনিয়ন। গত ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে পরাজিত এবং বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সশস্ত্র মহড়া ভীতির সঞ্চার করেছে এলাকায়। এর মধ্যে রাতে মুহুর্মুহু গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগÑ প্রশাসনের নীরবতার কারণে সহিংসতার পথ থেকে ফেরানো যাচ্ছে না দুই পক্ষকে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানায়, গত কয়েকদিন ধরেই মুখোমুখি অবস্থানে ইউনিয়নটির বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু এবং পরাজিত প্রার্থী মাহবুব মিয়ার সমর্থকরা। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার বিবাদে জড়ায় তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিভিন্ন ফেক আইডি দিয়ে হুমকি ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেওয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে হোসেন্দী নতুনবাজার এলাকায় মুহুর্মুহু গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পান তারা। বেশ কয়েকজন মোবাইলে ঘটনাটি ভিডিও করে রাখেন। তবে রাত হওয়ায় কারা গুলি করছে বা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হোসেন্দীর উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মাহবুব মিয়ার দাবি বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর সমর্থক বিএনপি নেতা মাসুম ওরফে কালা মাসুমের নেতৃত্বে ৩০-৪০ বহিরাগত সন্ত্রাসী তার বাড়িঘর ও ড্রেজারে হামলা করার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে। তবে পুলিশের তৎপরতার কারণে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
মাসুমের দাবি- এক সময় তিনি মাহবুব মিয়ার সমর্থক ছিলেন, এখন বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর সঙ্গে তার সুসম্পর্ক হওয়ায় তা মানতে পারছেন না মাহবুব। তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাহবুবের ছোট ভাই সৈকত হোসেন বাবুর নেতৃত্বে গত রাতে তার বাসার অদূরে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করা হয়। ওই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তার বড় ছেলে নাজমুল হাসান মুঠোফোনে ঘটনার কিছু অংশ ভিডিও করে রেখেছেন। গভীর রাত হওয়ার কারণে অপরাধীদের মুখ দেখা না গেলেও ভিডিওতে তিন-চারটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় উভয় পক্ষেরই দায় রয়েছে। তবে এগুলো গুলির বা ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ নাকি অন্য কিছু তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
খবর সম্পর্কে মন্তব্য করুন