
মোঃ রয়িসুল সরকার রোমন,স্টাফ রিপোর্টার:
স্বামী কুমিল্লায় রিকশা চালায়, এই ঝড়োৎ ঘর উড়ি যায়া (গিয়া) টিনের চাল ছাওয়াগুলোর গাৎ (গায়ে) পড়ছিল। পরে টানি বের করছি ছাওয়াক। দুইটা চড়াই (মুরগি) মরছে। বাকিগুলা কোন্টে কোন্টে উড়ি গেইছে যানোংনা।’
কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাটের আদিতমারীর চৌধুরী বাজার এলাকার গৃহিনী মুনমুন। গতকাল সোমবার (১৫ মে) রাতে আকস্মিক ঝড়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হন।
উপজেলার হিষখোচা ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ কুটির পার, চৌধুরী বাজার, বালাপাড়া এলাকায় ঝড়ে প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘর ভেঙে পড়ায় ছোট শিশুসহ বৃদ্ধ আহত হয়েছে। তবে নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব এলাকায় বয়ে যাওয়া ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের চালাসহ ঘরবাড়ির বিভিন্ন অংশ। বেশ কিছু জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়ায় রাস্তায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে গাছপালা। অনেকেরই গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতর হতাহত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুতের সংযোগ।
কুটিরপার এলাকার বিধবা বৃদ্ধা অলিমা বেগম বলেন, একলা ঘরে থাকি, হঠাৎ ঝড়ে বড় একটা গাছ ঘরের ওপর পড়েছে। পুরা ঘর ভাঙি গেছে। এখন কিভাবে থাকবো, কোথায় থাকবো জানি না।
মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বলেন, গত কালের ভারী বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের কারণে আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে আমি আদিতমারী উপজেলা ইউ.এন.ও স্যার সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ঘরবাড়ির ছবি এবং ভোটার আইডি কার্ড সহ তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বৃন্দকে।
আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে প্রাথমিকভাবে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তালিকা করা শুরু করেছি। কিছুক্ষণ পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।