জনসংযোগ ডেস্ক
দৈনিক সংগ্রামের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। সত্যের সংগ্রামে নিবেদিত যে পত্রিকার নিরন্তর পথচলা। সে পথ কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিলো না। শাসন-শোষণ ভ্রুকুটি, বিরুদ্ধজনের বিদ্বেষ-হিংসাকে উপেক্ষা করেই অব্যাহত রাখতে হয়েছে তার অগ্রযাত্রা। ক্লান্তিহীন এই দীর্ঘ পথযাত্রায় প্রতিটি বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করেছে নিঃসংকোচ, দ্বিধাহীন। গ্রাস করতে পারেনি কোনো ভ্রান্তি, লোভ-লালসা। তাই সংবাদপত্র জগতে দৈনিক সংগ্রাম একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
শুরু থেকেই দৈনিক সংগ্রামের সংবাদ পরিবেশন উপস্থাপন বরাবরই সত্যাশ্রয়ী, শোভন সুবিন্যস্ত। দেশ ও জাতির কল্যাণকে ধারণ করেই উন্মোচিত হয় প্রতিদিনের প্রভাত। প্রতি সকালের সংগ্রাম। তাই সংগ্রাম জনকল্যাণের পত্রিকা। জনহিতের পত্রিকা। জনভাবনার পত্রিকা। সংগ্রাম দেশের আইনের শাসনকে মান্য করে। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা বিশ্বাসকে উচ্চকিত করে। সংগ্রাম প্রত্যাখ্যান করে ‘হলুদ’ সাংবাদিকতা। তার শব্দ ব্যবহার সত্য সন্ধানী, সংবাদ উপস্থাপনে পাঠককে মুগ্ধ করে আসছে প্রতিদিন। বলা যায় দীর্ঘ আটচল্লিশ বছরের পথপরিক্রমায় এখনো তা অমলিন, দৃঢ়চিত্ত। গণতান্ত্রিক পরিবেশে মতদ্বৈতা একটি স্বাভাবিক বিষয়। এই দ্বীপ্ত ঔজ্জ্বল্যকে আশ্রয় করেই সংগ্রাম প্রকাশ করে তার মনোভঙ্গি। মতান্তর মনান্তরে উঠে আসুক বরাবরই এই অস্বস্তিজনক অবস্থার বিপরীতে সংগ্রামের অবস্থান।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, লেখকের স্বাধীনতা বিশেষ করে একজন সাংবাদিকের মৌলিক অধিকারকেই নির্দেশ করে। নানান আইনকানুনের রক্তচক্ষু যদি তার স্বাধীকারকে স্তব্ধ করে দেয় তখন সেই জগত হয় অন্ধকার, অপরিচ্ছন্ন। পৃথিবীর অন্যান্য অবিবেচক দেশের মতো আমাদের দেশের সংবাদপত্র-সাংবাদিক ভিন্ন ভিন্ন কালাকানুনে অবরুদ্ধ। এই রুদ্ধতা চলার পথকে করে অমসৃণ, অস্বচ্ছ। দৈনিক সংগ্রামও এই অমসৃণ পথেরই পথিক। যে পথে বিভ্রাট বিপত্তি। এই বিভ্রাট বিপত্তির পথেই হাঁটছে সংগ্রাম বাধাহীন গত চারযুগ থেকে।
আজকের এই শুভদিনে যাদের সহযোগিতা, সহমর্মিতায় ধন্য, সেই পাঠক-পাঠিকা শুভানুধ্যায়ী, এজেন্ট, হকার্স এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের প্রতি থাকলো শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। অবশেষে মহান আল্লাহ’র লাখো কোটি শুকরিয়া, যার কৃপাদৃষ্টি দৈনিক সংগ্রামের পথকে করেছে প্রশস্ত, বিস্তৃত। আগামী দিনগুলোতেও দৈনিক সংগ্রাম প্রত্যাশা করে সেই মহাসত্তার রহমত, অগণন, অফুরান।
Leave a Reply