মোঃ রয়িসুল সরকার রোমন,স্টাফ রিপোর্টার:
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তাবামতীর রক্ষা বাধ পরিদর্শন করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
(০২ মে) মঙ্গলবার বিকাল ৬টায় পরিদর্শনে যান মন্ত্রী।এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বলেন, তিস্তা নদীর বেরিবাধের কারণে বন্যার সময় এলাকাবাসী নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে। যার নুন খায় তার গুণ গাইতেই হবে। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রশংসার অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব মিজানুর রহমান বলেন, আমার বাপ-দাদার ভিটমাটি ২ বার ভাঙছে। তিস্তা নদী বর্তমান স্থান থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ছিলো।ভাঙতে ভাঙতে সরে এসেছে।অনেক মানুষ বেকার হয়েছে। বাধ না হলে হয়তো আরো ভাঙ্গতো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার বর্মন বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্প এক বছরে শেষ হয়না।এই প্রকল্পটি আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইতিহাসে রেকর্ড। বাধ টেকশই ও বৃদ্ধিকরণের জন্য ভিজিবিলিটি স্টাডি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আলহাজ নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিস্তা নদীর পাড়ের গরীব দুঃখী মেহনত মানুষের কথা চিন্তা করে এই বেরি বাঁধের বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু বিগত ৩৫ বছরেও এমন উন্নয়ন কোন সরকারি করতে পারেনি। আগামী দিনে আরো নদী সংরক্ষণের স্থায়ী কাজ করা হবে।
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে মহিষখোঁচা ইউনিয়নের নদীভাঙা মানুষের সুখে দুঃখের দাঁড়াবার আশ্বাস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, মহিষখোঁচা ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪৯ কোটি ৩৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা ব্যায়ে আড়াই কিলোমিটার বাধেন নির্মাণের কাজ শুরু করে। দীর্ঘ দের বছর পর বাধেন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
খবর সম্পর্কে মন্তব্য করুন