স্টাফ রিপোর্টার: শারমিন মৌ
গাইবান্ধা সদরের মধ্য আনালেরতাড়ীতে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের হিড়িক চলছে। আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছা মতো আবাদী নিজ জমিতে মাটি কেটে ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে।
জানা গেছে, প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছাড়াই আবাদী জমিতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে খনন করে মাটির গভীর থেকে বালু উত্তোলন করায় বিপাকে পড়েছেন পার্শ্ববর্তী আবাদি জমির মালিকরা। ড্রেজার দিয়ে মাটির গভীর থেকে বালু উত্তোলন করায় পার্শ্ববর্তী আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বেশ কিছু চাষি পরিবার। পার্শ্ববর্তী জমির চাষিরা জানান, ‘যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে করে আমাদের আবাদি জমি গুলো ধ্বসে ভবিষ্যতে বালুতে তলিয়ে গেলে আমরা আর চাষ করতে পারব না। ফলে আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’ বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পার্শ্ববর্তী আবাদি জমির মালিকরা বারবার নিষেধ করলেও কোনো লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন চাষিরা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে দেখা যায়, গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার মধ্য আনালেরতাড়ী গ্রামের ময়নার বাজারের দক্ষিণ পাশে মন্টুর বাড়ির পিছনে মন্টুর ছেলে আশরাফ আলী, জামাতা এরশাদ মিয়া ও মজা মিয়া অনেক দিন আগ থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে হাত করে অবৈধ উপায়ে মাটি ও বালু বিক্রি করে আসছেন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে সরকার ২০১০ সালে মাটি ও বালুমহাল আইন পাস হওয়া সত্বেও এসব বালি ব্যবসায়ীরা অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে আবাদি জমি খনন করে আসছেন। এতে পার্শ্ববর্তী কয়েক বিঘা আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। এ ছাড়া পুকুর কেটে বালু উত্তোলন করার পর এসব বালু পার্শ্ববর্তী ফসলি জমিতে রাখার ফলে জমির ঊর্বরতাও নষ্ট হচ্ছে দিন দিন। অন্য দিকে প্রতিদিন ৫-৬ টি মাটি ও বালুভর্তি ট্রলি আসা-যাওয়ার ফলে একমাত্র রাস্তাটিরও বেহাল দশা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, ‘পুরো উপজেলা থেকে অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। এভাবে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। দ্রুত সরেজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাইবান্ধা সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজাউল করিম বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে সহযোগিতা করা হবে।
Leave a Reply