পটুয়াখালীর বাউফলে জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে আপন ভাইদের মধ্যে জমিজমা ভাগাভাগির রেষারেষিতে জন্মদাতা পিতাকে হেনস্থা করার অভিযোগ পাওয়া যায় সন্তানদের বিরুদ্ধে।বাবা জীবিত থাকাকালীন সন্তানদের মধ্যে রেষারেষি এমন প্রতিক্রিয়া নিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।গত ৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের সিংহেরাকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে যানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সন্তানরা আপন বাবা আঃ রাজ্জাক হাওলাদার কে বাউফল রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে থেকে গত ৮/৯/২০২২ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার আপন সন্তান নাসির ও বশির হাওলাদার এবং মেয়ে তানজিলা বেগম এর স্বামী বশির হাওলাদার এর নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে জোরপূর্বক বাবার সাথে থাতা এক লক্ষ টাকা ও কাগজ পত্রের সাথে গাড়িতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। জমির ভাগাভাগির রেষারেষির কারনে জন্মদাতা পিতাকে এমনভাবে হেনস্থা করে নেওয়া এটা বোধগম্য নয়! এমনটাই ঘৃনা ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন বাউফল রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে অবস্থানরত উপস্থিত জনতা।
সংশ্লিষ্ট সুত্র আরো জানায়, আঃ রাজ্জাক হাওলাদার শারীরিক অসুস্থতার কারনে চিকিৎসার জন্য জনৈক এক ব্যাক্তির নিকট থেকে টাকা ধার নেয়।ওই দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ওই জমির দলিল দিতে গেলে আঃ রাজ্জাকের সাথে এমন ঘটনা ঘটায়।যানা গেছে, বর্তমানে আঃ রাজ্জাক হাওলাদার অসুস্থ অবস্থায় উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মদনপুরা গ্রামে তার মেঝ মেয়ের বাড়িতে রয়েছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে যানা যায়, আঃ রাজ্জাক হাওলাদারের ৮ ছেলেমেয়েদের মধ্যে তিন ছেলে এবং তিন মেয়ে জীবিত রয়েছে।দুই ছেলে মারা গেছে। তাদের মধ্যে জাকির হাওলাদার তার পিতা আঃ রাজ্জাক হাওলাদারকে ভালমন্দ দেখাশোনা ও ভরনপোষণসহ চিকিৎসা সেবা করায় রাজ্জাক স্বইচ্ছায় ৩৮ শতাংশ জমি দলিল করে দেয়।এতেই রেষারেষি খোপ সৃষ্টি হয় অনন্যদের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরেই নাসির,বশির ও তানজিলা এবং নাসিরের স্ত্রী রাসিদা বেগম জমিজমা ভাগাভাগি করে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসতেছে।
আরো যানা যায়, নাসির হাওলাদার, বশির হাওলাদার ও তানজিলা কে বাদী করে একটি মিথ্যা মামলা করানো হয় এবং জাকির তার স্ত্রী মোসাঃ ছালমা বেগম এ মামলায় গ্রেফতারও হয়েছিল। তবে,বর্তমানে পটুয়াখালী বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।ইতিপূর্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নেছারউদ্দিন সিকদার জামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে আঃ রাজ্জাক হাওলাদারের সাক্ষাৎকার নিয়ে তিন ছেলেকে স্থানীয়দের সম্মুখে বলেদেন যে, ‘যেহেতু তোমাদের বাবা জাকিরের সাথে থাকতে ইচ্ছুক সেহেতু তার জীবদ্দশায় জাকির জমি ভোগদখল করবে। তোমরা বাবার চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রতি মাসে কিছু টাকা দিবে’।
উল্লেখ্য, নাসির ও বশির হাওলাদার একদিকে যেমন ভায়রা-ভাই অপরদিকে তারা এ-তোই বেপরোয়া যে সহজেই আইন কানুনের তোয়াক্কা করে না। বাবা জীবিতকালে কি ভাবে সন্তানরা জমির মালিক হতে পারে এটা বোধগম্য নয়। বাবার সেবা, চিকিৎসা, ভরনপোষণ দিবে না অথচ জমি ভাগ করার জন্য মরীয়া হয়ে উঠেছে।সুত্রে আরো জানায়, বর্তমানে অনন্য সন্তানরা সম্পত্তির জন্য আপন বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে এমনটাই উৎবিঘ্নে রয়েছে জাকির।তাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে এবং জাকিরের স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭/১১৭( ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply