ললমনিরহাট জেলা বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে জমির ভাগ বন্টনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে চয়ন নামে ৭ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও ওই শিক্ষার্থী এখন তার মামার বাড়ীতে রয়েছে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানায় দাখিলকৃত অভিযোগে জানা যায়,শিক্ষার্থী চয়নের দাদার জমি বন্টনে তার বাবাকে অংশ থেকে বন্চিত করে তার চাচারা।শুধু তাই নয় এ সংক্রান্ত বিষয়ে চয়ন ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলাও চালিয়েছিল তারা।
এতে শিক্ষার্থী চয়নের হাত ভেঙ্গে যায়, তার মায়ের গর্ভের সন্তান নস্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসায় চয়নের পরিবারকে.তার চাচারা ৭ শতাংশ জমি লিখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে ঘটনাটি সাময়িকভাবে মিমাংসিত হয়।
সেই ৭ শতাংশ জমিতে বর্তমানে চয়নের পরিবার বসতভিটা করে বসবাস করে আসলেও জমিটি চয়নের পরিবারকে রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে দেয়া হয়নি আজো।পুনরায় চয়নের পরিবারের উপর নির্যাতন, হামলা, বাড়ি ভাংচুর চালায়।এছাড়াও চয়নদের বিরুদ্ধে চুরির মিথা অভিযোগ করেন চাচারা।ফলে চয়নের পড়া লেখা বন্ধ সহ চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
চয়নের বাবা পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রী। জীবিকার টানে ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজে নিয়োজিত এবং ঢাকাতেই রয়েছেন।এদিকে তার মায়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।চাচাদের অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতার কারনে চয়ন এখন নিজ বাড়ি ছেড়ে তার মামার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।
এ বিষয়ে মদাতি ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি চেষ্টা করে মিমাংসা করার,কিন্তু বিবাদী পক্ষ কথা না মানায় আমি তাদের আইনের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
শিক্ষার্থী চয়ন বলেন, আমি চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি।স্বাভাবিকভাবে পড়া লেখায় চালিয়ে যেতে পারছিনা।শিক্ষার্থী চয়ন এব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বুলু সরকার জানান, চয়ন আমার ভাগিনা। সে নিরাপত্তাহীনতার কারনে এখন আমার বাড়িতে অবস্থান করছে।
এবিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এটি এম গোলাম রসুল বলেন, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply