কারণ দর্শানো ছাড়াই কোনো
কর্মীকে
চাকরি
অপসারণ সংক্রান্ত
দমন কমিশনের (দুদক)
বিধিটি বহাল থাকছে। দুদক
(কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার
৫৪(২) বিধি বাতিল করে মো. শরীফ উদ্দিন
হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের
বিরুদ্ধে সংস্থাটির করা আপিল মঞ্জুর করেছেন
আপিল বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন
আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
একই সঙ্গে ওই বিধি নিয়ে হাইকোর্টের
আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের চাকরিচ্যুত উপসহকারী
পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের করা আবেদনকে
নিষ্প্রয়োজন বলা হয়েছে।
রায়ের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম
যান প্রথম আলোকে বলেন, আপিল বিভাগের
রায়ের ফলে বিধিটি বৈধতা পেল এবং তা বহাল
থাকছে। ফলে শরীফ উদ্দিন আপাতত চাকরি ফিরে
পাচ্ছেন না। যদিও তাঁর একটি রিট হাইকোর্টে রয়েছে।
ওই বিধির ক্ষমতাবলে গত বছরের ১৬
ফেব্রুয়ারি শরীফকে চাকরি থেকে অপসারণ করা
হয়। এরপর এর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন
তিনি। তবে বিধিটি নিয়ে দুদকের করা আপিল
নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শরীফের রিটের শুনানি
মুলতবি করেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের
আদেশ স্থগিত চেয়ে তিনি গত বছরের ১৬ জুন তি
টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন)
করেন। দুদকের করা যে আপিল মঞ্জুর করে আপিল
বিভাগ রায় দিয়েছেন, এর সঙ্গে শরীফের করা লিত
টু আপিলেরও শুনানি হয়।
এর আগে ২০০৮ সালের দুদকের ওই বিধি
অনুসারে মো. আহসান আলী নামের এক
কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছিল। তিনিও
বিধিটির বৈধতা নিয়ে রিট করেন। পরে ২০১১
সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই বিধি বাতিল
ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক পিত
টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের নভেম্বরে খারিজ
হয়। এর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে মুনক পুনর্বিবেচনার
(রিভিউ) আবেদন করে। আপিল বিভাগ ২০২১
সালের ২৮ নভেম্বর দুদককে আপিল করার অনুমতি
হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়।
আদালতে আহসান আলী ও শরীে
শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন
দোলন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্ম
ইশতিয়াক এবং এস এম মাহিদুল ইসলাম। দুদকের
পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনষ্ঠীবী খুরশীদ
আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত আইনি
জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
Leave a Reply