
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগকে খন্ড খন্ড করে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করার অভিযোগ উঠেছে চৌধুরী পরিবারের বিরুদ্ধে।
দৌলতপুরে আওয়ামীলীগকে গ্রুপিং এর মধ্যে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে সাবেক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এমপি রেজাউল হক ও উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করা তার ছোট ভাই কিল্যারখ্যাত সন্ত্রাসী টোকেন চৌধুরী।
সাবেক এমপি মরহুম আফাজ উদ্দিন এর নেতৃত্বে দৌলতপুর আওয়ামীলীগের দূর্গ বলে পরিচিতি পেলেও এই চৌধুরী পরিবার আজ আওয়ামী লীগ কে কয়েক খন্ডে বিভক্ত করে ফেলেছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই গ্রুপের বিভিন্ন নাম করন করেছেযেমন, চৌধুরী গ্রুপ, আফাজ গ্রুপ, বাদশা গ্রুপ, রিমন গ্রুপ। দলের এই চারটি গ্রুপের প্রভাব আবার কারোর চেয়ে কেউ কম যায় না। স্থানীয় আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা কর্মীদের বক্তব্য, এই উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা বলতে মরহুম আফাজ উদ্দিন এর কথা প্রথমে এক বাক্যে শিকার করতে হয় সকলকে।
এর পরে বর্তমান এমপি আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, এবং দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন রিমন। শরিফ উদ্দিন রিমন উপজেলা আওয়ামীলীগের বার বার নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক। এদিকে এই সকল নেতাকে ল্যাং মেরে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলের বড় নেতা সেজে বসে আছেন রেজাউল হক চৌধুরী। সম্প্রতি নিজেকে বড় মাপের আওয়ামী লীগের নেতা প্রমান করতে গিয়ে আগামী সাংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহনের লক্ষে এক পথসভায় রেজাউল চৌধুরী দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন, তিনি বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বর্তমান আওয়ামীলীগের এমপি বাদশাহ্’র বিরুদ্ধে সরাসরি উস্কানি মূলক বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করতে মরিয়া চৌধুরী পরিবার।
সম্প্রতি, মরিচা ইউনিয়নে রেজাউল হক চৌধুরী গণসংযোগকালে উস্কানি মূলক বক্তব্য দেয় তার ৪ দিন পরেই ঘটে এক ভয়াবহ সংঘর্ষ, সেই সংঘর্ষে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, কিলারক্ষ্যাত টোকেন চৌধুরী আল্লারদর্গা বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে খোকন নামে এক যুবকে গুলি করে হত্যা করে দেশ থেকে পালিয়ে যায় স্পেনে, স্পেনে গিয়ে অবৈধ ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায় টোকেন চৌধুরী। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশে ফিরে এসে দৌলতপুরে গড়ে তুলেন বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী সেই বাহিনীর মাধ্যম ২০১৪ সালে রেজাউল হক চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এমপি নির্বাচিত করেন টোকেন চৌধুরী। ২০১৪ সালে রেজাউল হক চৌধুরী এমপি হওয়ার পর থেকে তাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি তখন দৌলতপুরের ছোটবাবু হিসাবে পরিচত লাভ করেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের যেসব নেতা কর্মীরা তাদের ভোট করেনি তাদের প্রতি চালায় অমানবিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা। আল্লারদর্গা বাজারে পার্টি অফিস নামে খুলে টর্চার সেলে চলাতো নির্যাতন। রেজাউল হক চৌধুরী এমপি হলেও পুরো দৌলতপুর নিয়ন্ত্রন করতেন টোকেন চৌধুরী, মাদক, অস্ত্র, চাঁদাবাজী, ট্রেন্ডারবাজী, নিয়োগ বানিজ্য ছিলো টোকেন চৌধুরীর প্রধান কাজ।
চৌধুরী পরিবারের বিরুদ্ধে যারাই মুখ খুলে তাদের কে হতে হয়েছে খুন অথবা সন্ত্রাসী হামলার শিকার, জাতীয় যুব জোট নেতা আব্দুস সালাম কে কুপিয়ে হত্যা করে চৌধুরী পরিবার, সম্প্রতি জাকির হত্যাকান্ড চৌধুরী পরিবারের হাত আছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, চৌধুরী পরিবার কখনো আওয়ামী লীগের জন্য রাজনীতি করেনি করেছে তাদের স্বার্থের রাজনীতি, সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে এমপি হোন রেজাউল হক চৌধুরী, তার ছোট ভাই টোকেন চৌধুরী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে পরাজিত হোন, এবার ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের পরাজিত করার মূলে ছিলেন চৌধুরী পরিবার।
সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগে রেজাউল হক চৌধুরী বক্তব্য দেন বর্তমান এমপি বিএনপির নেতাদের নিয়ে রাজনীতি করছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। রেজাউল হোক চৌধুরীর পরিবার বিএনপির রাজনীতি করতেন মৃত রবিউল হক চৌধুরী,মিন্টু চৌধুরী, লোটন চৌধুরী জাতীয় পার্টি করতেন সেলিম চৌধুরী এখন তারাই বড় আওয়ামী লীগ নেতা। সেলিম চৌধুরী জাতীয় পার্টি সময় আল্লারদর্গা বাজারে নৌকা পুড়িয়ে এখন সে নৌকার ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি আরও বলেন, চৌধুরী পরিবার প্রকাশ্যে বলেন তারা নৌকা বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদেশ উপেক্ষা করে বারবার বিদ্রোহী নির্বাচন করবেন সেটা উপজেলা আওয়ামী লীগ মেনে নিবে না শক্ত হাতে দমন করবেন, দৌলতপুরের মানুষ শান্তি চাই সন্ত্রাস চাই না।