মোঃ সামিউল আলম সায়মন,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় আদালতের আদেশ অমান্য করে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে জোরপূর্বক পাকা বাড়ি ও দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বিমাতা দুই ভাইয়ের উপর। বাঁধা দিতে গেলে বিভিন্ন প্রকার হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদান পূর্বক প্রাণে মারার হুমকীও প্রদান করেছেন বিমাতা ভাইয়েরা। অপরদিকে পুলিশকে বার বার জানিয়েও কোন সহায়তা পাচ্ছেনা মোবারক হোসেন।
এ ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তি ও সম্পত্তি উদ্ধারের দাবী জানিয়েছে জমির মালিক মোঃ মোবারক হোসেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার চিড়াভিজা গোলনা এলাকায় মোবারক হোসেনের নালিশী সম্পত্তির উপর অর্ধনির্মিত পাকা বাড়ি করেছেন তার বিমাতা দুই ভাই মোঃ ফারুক হোসেন ও মোঃ বাবুল হোসেন। তারা এলাকার মৃত ছোলেমান মিয়ার ছেলে।
মোবারক হোসেন বলেন, মোঃ ফারুক হোসেন ও মোঃ বাবুল হোসেন আমার বিমাতা ভাই। আমার বাবা আপোষ সূত্রে নালিশী খং এর এস,এ ৬৮৫ ও বি,এস নং ১৬৬১ খতিয়ানের ২৪৪ দাগে ২০ শতাংশ সম্পত্তি ও বে-নালিশী খং ও দাগের একুনে মোট এক একর সম্পত্তি ৪৩৩০ রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল মুলে আমার নিকট বিক্রি করেন এবং দখল হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে আমি ক্রয়কৃত ২০ শতাংশ সহ পৈত্রিক সম্পত্তির রেকর্ড করার জন্য ফারুক হোসেনকে দায়িত্ব দিলে তিনি সম্পূর্ণ সম্পত্তি গ্রাস করার উদ্দেশ্যে সুকৌশলে মাঠ জরিপ কর্মচারীদের সাথে যোগসাজসে এস,এ ৬৮৫ খতিয়ানের ২৪৪ দাগকে নতুন ৬৪১ দাগে রুপান্তরিত করে। সেইসাথে পৈত্রিক সূত্রে পাপ্ত সম্পত্তিতে আমার নামের সাথে বিমাতা ভাই মোঃ ফারুক হোসেন ও মোঃ বাবুল হোসেনের নাম সমান অংশে অন্তর্ভুক্ত করে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকে তাদের সাথে আমার বিরোধ চলে আসছে। তাদের লোকবল বেশী হওয়ায় আমি সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারিনি। তারা আমাকে সর্বক্ষণ হুমকী দিয়ে থাকে। তাই কোন উপায় না পেয়ে পরবর্তীতে আমি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে রেকর্ড সংশোধণী একটি মামলা দায়ের করি। মামলা নং ২০৬/১৭। মামলায় আমি রায় পাই। এর মধ্যেই আবার তারা আমার ২০ শতাংশের মধ্যে ৬ শতাংশ জমিতে পেশীশক্তি ব্যবহার করে জোরপূর্বক পাকা ঘর ও দোকান নির্মাণ করেছেন। আমি তাদের উপর্যুক্ত শাস্তির পাশাপশি আমার সম্পত্তি উদ্ধারের দাবী জানাই। মোবারক হোসেন বাদী হয়ে (৩০ মার্চ/২৩) তারিখ নীলফামারী বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। গত ১৩ এপ্রিল / ২৩ ইং তারিখে আদালত জমিতে আর কোন প্রকার অবকাটামো করতে পারবেনা মর্মে একটি আদেশ দেন এবং বিত্ত ক্রোক পূর্বক অফিসার ইনচার্জ জলঢাকাকে রিসিভার নিয়োগ করেন।
বিমাতা দুই ভাইয়ের সাথে কথা হলে ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের জন্ম এই জমির উপরে। আমরা বড়ও হয়েছি এই জমির উপরে। এটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আমাদের তিন ভাইয়ের নামে রেকর্ড করা আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবির বলেন,নিয়ম অনুযায়ী আমি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।