
মো: সামিউল আলম (সায়মন), নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোঃ জুয়েল রানা (৩৫) নামে এক যুবকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমানে জুয়েল রানা গুরুতর আহত অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার পরিজন দিয়ে দিনাতিপাত করছেন। তাই সন্ত্রাসী বাহিনীদের উপর্যুক্ত শাস্তি দাবী করেন তিনি।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (০১ জুন) দুপুর আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকায় সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়াল খাতা (মুন্সিপাড়া) এলাকার জামিয়ার রহমানের বাড়ির সামনে ঘটেছে। জুয়েল রানা এলাকার মোঃ আকরাম আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীদের নাম উল্লেখ করে নীলফামারী সদর বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার পিটিশন নং-২৩(সদর)।
অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা হলেন, একই এলাকার মৃত আলহাজ¦ ওসমান গনীর তিন ছেলে মোঃ জাহেদুল ইসলাম (৪৫), মোঃ জসিম উদ্দিন (৪৮), মোঃ আবুল কাসেম (৫০), মোঃ আকরাম আলীর ছেলে মোঃ হাসান আলী (৩৫), মোঃ আবুল কাসেমের ছেলে কালাম আহমেদ (৩০) এবং মৃত কছো মামুদের ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম (৩৬)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসী বাহিনীদের সাথে ভুক্তভোগী যুবকের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। এরই মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২.৩০ ঘটিকার সময় সন্ত্রাসী বাহিনীর ৬ সদস্য সহ আরো অজ্ঞাত ৫ থেকে ৭ জন হাতে ধারালো ছোরা লোহার রড,সাবল, খন্তি,বাঁশের লাঠিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুক্তভোগী মোঃ জুয়েল রানার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। ভুক্তভোগী তাদের গালিগালাজের কারণ জিজ্ঞাসা করলে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মোঃ জাহেদুল ইসলামের হুকুমে ওই যুবকের উপর এলোপাথারি ডাং মার শুরু করে অন্যান্য সদস্যরা। সন্ত্রাসী মোঃ জাহেদুল ইসলাম তাকে প্রাণে মারার উদ্দ্যেশে তার মাথার মাঝ বরাবর লোহার সাবল দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম এবং মাথার খুলি ভেঙ্গে দেয়। এরপর তার চোখের দৃষ্টি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে চোখ বরাবর সাবল ও লোহার রড দিয়ে এলাপাথারি কোপ মারতে থাকলে উক্ত কোপগুলি জুয়েলের ডান চোখ ও মনিতে গুরুতর জখম হয় এবং তার বাম হাতের কাঁধের হাড় ভেঙ্গে ও জয়েন্ট খুলে যায়। সে মাটিতে পড়ে গিয়ে চিৎকার করলে তার স্ত্রী মোছাঃ নুরানী বেগম এগিয়ে আসে। তাকে বিবস্ত্র করে তার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের সর্ণের চেইন ছিড়ে নেয় বাহিনীরা। যার আনুমানিক মূল্য ৪৫ হাজার টাকা।
ওই যুবককে এলোপাতাড়ি মারধর করে সন্ত্রাসীরা তার সাথে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা অস্ত্র উঠিয়ে প্রাণ সাশের হুমকী সহ ভয়ভিতি প্রদর্শণ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এরপর আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায় এলাকাবাসী। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকা জনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে রেফার্ড করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, জাহেদুল ইসলামসহ তার দলবল অনেক শক্তিশালী। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না। তারা জুয়েলের মতো নিরিহ ব্যক্তির উপর অনেকবার হামলা করেছে। আমরা এলাকাবাসী হিসেবে অন্যায় ভাবে জুয়েলকে গুরুতর আহত করার জন্য তাদের উপর্যুক্ত শাস্তি কামনা করি।