ওসমান গনি স্টাফ রিপোর্টার
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের ঐতিহ্যবাহী গোয়ালী মান্দ্রা হাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের পাটখড়ি (কাঠি) পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মাদকসেবীর গাঁজার আগুন থেকেই এ অগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় অগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের তড়িৎ ব্যবস্থায় বড় ধরণের ক্ষতি হতে রক্ষা পায় হাটের দোকানপাটগুলো।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সেখানে হাট বসার কথা ছিল। সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল এক দুই দিন পূর্ব থেকেই হাটে মজুদ করছিল। গতকাল সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হাটের মজুদ করা পাটখড়িতে আগুন লেগে যায়।
খবর পেয়ে লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলার ২টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এসে ঘণ্টাখানি চেষ্টা করে অগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছে।
অহিদুল গাজী নামের এক পাঠকাঠির ব্যবসায়ী জানান, তিনি বিক্রির জন্য এখানে সাড়ে ৯ লাখ টাকা মূল্যের পাঠকাঠি মজুদ করেছিল। তার মত আরো দুই জন্য ব্যবসায়ীর এক লাখ টাকার মত পাটের কঠি মজুদ ছিল।
তার ধারণা দক্ষিণ পাশটাতে লোকজনের চলাচল নেই। সাধারণত গাঁজা সেবনকারীরাই ওই দিকটাতে যায়। হয়তো কেউ গাঁজা খেয়ে গাঁজার আগুন সেখানে ফেললে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
লৌহজং উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, হাটে মজুদ করা পাটখড়িতে বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ করে আগুন লাগলে খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ধারণা করা হচ্ছে বিড়ি সিগারেটের আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লৌহজং উপজেলা পরিষদের মহিল ভাইস চেয়ারম্যান রিনা আক্তার জানিয়েছেন, এলাকাটি মাদককারবারী ও মাদক সেবীদের আকড়া। পাটকাঠির দোকানের একপাশে গাঁজাসেবীরা আঁখড়া তৈরি করে সেখানে নিয়মিত গাঁজা সেবন করতো। ধারণা গাঁজা খেয়ে তারা পাটকাঠির উপর আগুন ফেললে পাটখড়িতে লেগে যায়। এসকল মাদকসেবীদের আরো কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
খবর সম্পর্কে মন্তব্য করুন