একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ন সমাজের লক্ষ্যে সম্মানিত নাগরিকদের টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে দিবারাত্র কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। শুধু সংঘটিত অপরাধ দমনই নয়, নিয়ন্ত্রন, তদন্ত সহ অপরাধ নিবারনে সার্বক্ষণিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।এরই ধারাবাহিকতা জেলা পুলিশ কুড়িগ্রাম এঁর নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ দিবাগত রাতে জনাব সুশান্ত চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) এবং জনাব মোঃ সুমন রেজা, সহকারী পুলিশ সুপার, নাগেশ্বরী সার্কেল এঁর নেতৃত্বে এবং কুড়িগ্রাম জেলার ডিবি পুলিশ এর সমন্বয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা, কিশামত শিমুলবাড়ী গ্রামে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় হয়। উক্ত সংবাদ এর ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৩ টি বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি, ১ টি বাজাজ ডিসকভার ১২৫ সিসি এবং ১ টি বাজাজ ডিসকাভার ১০০ সিসি সহ মোট ৫ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ী থানা এলাকার নাওডাংগা গ্রামে রাতভর অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে এসব উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা শাখার চৌকস আভিদানিক দল। এ সময় আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের এবং চোরাই মোটরসাইকেল ইন্জিন চেসিস পরিবর্তন করে পেশাদার ভাবে ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত ২ সক্রিয় সদস্য কুড়িগ্রাম জেলার, ফুলবাড়ী থানার, নাওডাঙ্গা গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম(২৫) ও কিসামত শিমুলবাড়ি গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান (২২) কে গ্রেফতার করা হয়। বিআরটিএ হতে তথ্য সংগ্রহ করে মোটরসাইকেল মালিকদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুইজন মালিক সনাক্ত করা গেছে যার মোটরসাইকেল তিন মাস পুর্বে গংগাচড়া থানা রংপুর হতে চুরি হয়েছে এবং অন্যটি দিনাজপুরের বিরগঞ্জ হতে চুরি হয়। বাকীদর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় অত্র অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা হতে চোরাইকৃত এসব মোটর সাইকেল প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রানান্তকর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ ।এভাবেই কুড়িগ্রাম জেলায় সংঘটিত অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রনে সম্মানিত নাগরিকদের পাশে সদা জাগ্রত কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।
খবর সম্পর্কে মন্তব্য করুন