কাউনিয়া(রংপুর)প্রতিনিধিঃ কাশ্মীরি আপেল কুল। দেখতে অনেকটা মাঝারি সাইজের আপেলের মতো। রং আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। স্বাদ হালকা মিষ্টি, অনেকটা বাউকুলের মত। এর আগে আপেল কুল চাষ হলেও নতুন জাতের কাশ্মীরি আপেল বড়ইয়ের চাষ দেশে বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে। প্রচলিত আপেল কুল ও বাউকুলের থেকে আকারে বেশ বড় এই কাশ্মীরি আপেল কুল। এ জাতের বড়ই চাষ করে সফল হয়েছেন রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলা তিস্তার চর চিনাতুলী গ্রামের কৃষক এরশাদুল ইসলাম। তিনি জানান, এর আগের বছর দেশে বিভিন্ন জেলা থেকে কাশ্মীরি আপেল কুল, বাউকুল, বল সুন্দরী কুলের চারা নিয়ে আসেন। তিনি এ চারা এক একর জমিতে রোপন করেন। মাত্র নয় মাস পর ফল এসেছে। একেকটি গাছে বাম্পার ফল হয়েছে বলে জানান এই চাষী। এরশাদুল ইসলাম লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর চিনাতুলী গ্রামের মৃত নুরল হকের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সিনিয়র মেকানিক্যাল হিসেবে চাকুরী করতেন। এই চাকুরী ছেড়ে দিয়ে এই তিনি গত ০২ বছর ধরে বিভিন্ন প্রজাতির কুল চাষ করছেন। কাশ্মীরি কুলের পাশাপাশি কলম করা মালটা, কমলা, পেঁপে, পেয়ারা, আম, লিচু ও সৌদি খেজুর গাছ লাগিয়েছেন। ভিন্ন জাতের কুল চাষাবাদের বিষয়ে চাষী এরশাদুল ইসলাম, চারা রোপন, চারপাশে ঘেরা ও পরিচর্যা দিয়ে এক একর জমিতে প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। আশা করছি এই বছরেই প্রায় ৩ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঋণ চেয়েও পান নি। তাই সরকারী ভাবে তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হলে সে এই এলাকায় একশত একর জমিতে এ ধরনের বিভিন্ন জাতের ফলজ গাছ বড় পরিসরে করতে পারবে এবং সেখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে।
খবর সম্পর্কে মন্তব্য করুন