জনসংযোগ ডেস্ক
“ছোট খাটো ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে উঠে দেশপ্রেমিক দলগুলোকে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে এক কাতারে এসে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে”।
গতকাল ২৬ নভেম্বর ২০২২, শনিবার, চরমোনাই মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে আয়োজিত ঐতিহাসিক বার্ষিক মাহফিলে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি’র যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনার। তিনদিন-ব্যাপী মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে গতকাল ছিল ‘ওলামা-মাশায়েখ ও সূধী সমাবেশ”। এতে দেশবরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ, খ্যাতনামা আলেম ও বিশিষ্ট নাগরিকগণ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে পীরে চরমোনাই, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর হজরত মাওলানা রেজাউল করিম মা.জি.আলী’র আমন্ত্রণে আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি’র পার্টির একটি প্রতিনিধি দল মাহফিল স্থলে গিয়ে পৌঁছান এবং পীরে চরমোনাই মাওলানা রেজাউল করিম মা.জি.আলী ও শায়খে চরমোনাই হজরত ফয়েজুল করিম দা.বা. এর সাথে
সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনার এর নেতৃত্বে
এবি পার্টির প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক এবং ছাত্র বিষয়ক সমন্বয়ক মুহাম্মদ প্রিন্স আল আমিন।
প্রফেসর ডা. মেজর অব. আব্দুল ওহাব মিনার
বক্তব্য প্রদানকালে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন এবং বিজ্ঞ আলেম ওলামাদের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন আমি বরিশালের সন্তান। এখানকার ঐতিহ্যের সাথে আমার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক রয়েছে। এই ঐতিহাসিক মাহফিলে আমি আগেও এসেছি। দেশের চলমান রাজনীতিতে উদারতা ও ঐক্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন – মুহাম্মদ স. শুধু মুসলমানদের নয় অমুসলিমদেরও নেতা ছিলেন। অন্য ধর্মের লোকেরা তাঁর ধর্মের প্রতি বিশ্বাস করতোনা কিন্তু তিনি যে সাম্য ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার প্রতি তাদের সমর্থন ছিল কারণ তাতে তাদের অধিকার রক্ষিত হয়েছিল। মদীনা সনদের ভিত্তিতে তৈরী রাষ্ট্রকে অন্য ধর্মের লোকেরা এজন্য মেনে নিয়েছিলেন যে রাসুল স. সমভাবে মুসলিম ও অমুসলিমদের অধিকার সংরক্ষণ করেছিলেন, সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। চরমোনাই পীর সাহেব এখানকার চেয়ারম্যান থাকা কালে বেনামাজী, অন্য ধর্মের লোকেরাও তাঁকে ভোট দিয়েছিল। প্রশ্ন হলো কেন দিয়েছিল? কারণ পীর সাহেবের ন্যায়সঙ্গত প্রশাসন পরিচালনায় তারা এখানে নিরাপদ ও আস্থাবান ছিল। জনাব মিনার বলেন, আমি চরমোনাই পীরের মুরিদ নই। আমি অন্য রাজনৈতিক দল করি, কিন্তু তিনি আমাকে স্নেহ করেন, আমিও তাঁকে শ্রদ্ধা করি। রাজনৈতিক ভিন্ন মত থাকলেও জাতীয় ইস্যুতে ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে আমরা একমত। আমরা মনেকরি সকল অন্যায়, অবিচার ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের বিকল্প নেই। আমরা যদি শান্তি ও কল্যাণ চাই তাহলে এই দুঃসময়ে ছোট খাটো ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে উঠে দেশপ্রেমিক দলগুলোকে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে এক কাতারে এসে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ সকল সূধীজন ও আলেম-ওলামাদের সাথে সৌজন্য মত-বিনিময় করেন।
Leave a Reply