কট্টর ইসলামবিদ্বেষী চক্র কর্তৃক অবৈধভাবে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টি দখল আড়াল করতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উদ্দেশ্যেমূলক মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান বলেন, সরকারি মদদে কট্টর ইসলামবিদ্বেষী চক্র অবৈধভাবে দেশের অন্যতম প্রাচীন ও আলোচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টি দখল করেছে। আর সে অনৈতিক দখলবাজি আড়াল করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াত-শিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ ও জামায়াত-শিবিরের কাজে লিপ্ত এবং গোপন যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে’। অথচ এসব দাবির পক্ষে সামান্যতম প্রমাণও দেওয়া হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে জঙ্গিবাদের ধোঁয়া তোলা হলেও দখল করা বোর্ড অব ট্রাস্টিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে কট্টর ইসলামবিদ্বেষী লীগ পরিচয়ধারীদের। অথচ জঙ্গিবাদের সাথে আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা, শীর্ষ নেতার সন্তান, আত্মীয়-স্বজন ও নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা বার বার প্রমাণ হয়েছে। অন্যদিকে যে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বর্বরতা, নির্মমতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকরা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে সেই সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য করা হয়েছে। বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান করা হয়েছে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জয় পাওয়া মেয়রকে। আরেক সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত চরম ইসলামবিদ্বেষী ও নাস্তিক্যবাদীদের দোসর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। টকশো, সভা, সেমিনারে ইসলাম, আলেম সমাজ ও সম্মানিত ব্যক্তিদের নিয়ে তার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অপশাসনের পক্ষে সাফাই গাওয়ার কারণে জাতির কাছে মোহাম্মদ আলী আরাফাত ধিকৃত ব্যক্তি। তাছাড়া অন্য দখলদার সদস্য সাদেকা হালিম অযাচিত, অসৌজন্যমূলক ও অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সততা, যোগ্যতা, নৈতিকতায় পরীক্ষিত ও প্রমাণিত সদস্যদের অবৈধভাবে বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত ভোট ডাকাত, সন্ত্রাসীদের দিয়ে কীভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে তা দেশবাসীর কাছে বোধগম্য নয়। বরং অনৈতিক স্বার্থ হাসিলের সুবিধা করে দিতে একটি প্রতিষ্ঠিত সফল বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা সরকারের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের ধারাবাহিক পদক্ষেপের একটি অংশমাত্র।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রশিবিরের নামে মিথ্যাচার করে এ অবৈধ দখল আড়াল করা যাবে না। ইতোমধ্যেই এ দখলবাজির বিরুদ্ধে ঘৃণা ও ধিক্কারের ঝড় উঠেছে। দেশবাসী ও ছাত্রসমাজ বোর্ড অব ট্রাস্টি দখলদারদের চর দখলদারদের মতই ধিক্কার দিচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে এ আওয়ামী প্রেস বিজ্ঞপ্তির বক্তব্যকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আশা করছি, আত্মসম্মানবোধ থাকলে এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হবে। একইসাথে বোর্ড অব ট্রাস্টির দখলবাজরাও আত্মমর্যাদার নজির স্থাপন করবেন।
খবর সম্পর্কে মন্তব্য করুন