
ওসমান গনি,স্টাফ রিপোর্টারঃ
মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর ঘটনাটি ধামাচপা দিতে ভক্তভোগীর পরিবারকে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে গ্রাম্য সালিশদের বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিযনে গত ১২ অক্টোবর রাতে ১৫ বছর বয়সী ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী একই গ্রামের মোস্তফা প্রামানিকের ছেলে শাহাদাত প্রামাণিকের কাছে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় সম্প্রতি টংঙ্গীবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করে কিশোরীর শারীরিক ভারসাম্যহীন বাবা।বিষয়টি পরিবারের পক্ষ হতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়।তারা ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবার অভিযোগ,মান সম্মানের কথা ভেবে প্রথমে বিষয়টি পুলিশকে জানাতে চাইনি। স্থানীয়দের জানালে তারা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা
কোন সমাধান দিতে পারেনি। পরে বাধ্য হয়েই পুলিশের কাছে যাই।তিনি আরো জানান, থানায় মামলা করার পর থেকে ধর্ষক শাহাদাত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।শুধু তাই নয় মামলা করার পর এলাকার মুরুব্বিরা ঘনঘন আমার বাড়িতে আসে।মীমাংসার জন্য চাপ দেয়।ধর্ষকদের পক্ষ নিয়ে আমাকে টাকার লোভও দেয়।আমি মুরুব্বিদের জানিয়ে দিয়েছি টাকা দিয়ে কি ইজ্জত ফিরিয়ে দিতে পারবেন?আজকে
টাকা নিবো দুইদিন পর আমি ও আমার পরিবারের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠবে তখন কি আপনাদের খুজে পাবো?আমি টাকা চাইনা আমি ওই ছেলের বিচার চাই। অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি।টংঙ্গীবাড়ী থানার ওসি রাজিব খান জানান,ধর্ষণের
অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।কেউ যদি চাপপ্রয়োগ করে থাকে তাহলে ভুক্তভোগীর পরিবারকে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।