
সোহেল রানা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
শরৎকাল জানান দিচ্ছে দেবীদূর্গার আগমনী বার্তা। আর কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় এবারে ১২৮টি দূর্গা মন্ডবে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে মন্ডবে মন্ডবে পুরোদমে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। কর্ম ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎশিল্পীদের। প্রতিমা তৈরী শিল্পীদের যেন দম ফেলার সময় নেই। বিরামহীন ভাবেই কাজ করছেন তারা।
এখন পর্যন্ত কাঠামো তৈরি থেকে শুরু করে মাটির প্রলেপ দেয়ার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। শিল্পীরা আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে দেবীদূর্গা,
লক্ষী,স্বরস্বতী,গণেশ,কার্তিক, মহিষাশুরসহ সকল মূর্তিকে স্ব স্ব মহিমায় প্রষ্ফুটিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
দূর্গাপূজা অর্চনাকারী পুরোহিত চন্দন চক্রবর্তী বলেন,পঞ্জিকা মতে,বাংলা সনের আগামী ১৪ই আশ্বিন ষষ্ঠী তিথির মাধ্যমে শুরু হয়ে ১৮ই আশ্বিন বিজয়া দশমীর মাধ্যমে বিসর্জন হবে দেবী দূর্গার। এবারে দেবীদূর্গা মর্তে গজে আগমন ও গমন করবেন নৌকায়।
প্রতিমা তৈরীর কারিগর
(মৃৎশিল্পী)বিকাশ চন্দ্র রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা চুক্তি ভিত্তিক প্রতিমা তৈরীর কাজ করি। এবারে ৫টি পূজা মন্ডবে প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছি। প্রতিটি মন্ডবে প্রতিমা তৈরীর জন্য ১৫হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা চুক্তি হয়েছে। সময় যত ঘনিয়ে আসছে কাজের চাপ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারন নির্ধারিত সময়ে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ করতে হবে।
রাজারহাট উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী রবীন্দ্রনাথ কর্মকার জানান,
এবারে রাজারহাটে সাতটি ইউনিয়নে গত বছরের পূজা মন্ডবের তুলনায় দু’টি পূজা মন্ডব বৃদ্ধি পেয়েছে।