
লালমনিরহাটের দুর্গাপুর ইউনিয়েনে উওর গোবধা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মো: সাইফুল ইসলাম (১১) পিতা- মোঃ নজরুল ইসলাম গ্রাম উত্তর গোবধা, থানা আদিতমারী জেলা লালমনিরহাট, সঠিবাড়ী কিন্ডার গার্টেন, দুর্গাপুর আদিতমারী লালমনিরহাট এর চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র।
ঘটনার দিন গত (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২. ঘটিকার সময় সাইফুল ইসলাম এর বাড়ী হইতে আনুমানিক ২০০ গজ পূর্ব পার্শ্বে নদীতে গোসল করাকালে,(১) আসামী মোঃ আনিছুর রহমান (১৯)
(২) মো: শাকিল মিয়া সেখানে গিয়া হাত দিয়ে মুখ চাপিয়া ধরে সাইফুল ইসলাম কে পাজা কোলে নদীর উপরে উত্তর গোবধা মো: ফজলুর হকের বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে লইয়া গিয়া মাটিতে শোয়ায়। সে সময় সাইফুল ধস্তাধস্তি করিতে থাকিলে গায়ের শার্ট খুলিয়া তাহার দুই হাত বাঁধে।
তাঁরপর পড়নে থাকা হাফ প্যান্ট টানা হেচড়া করিয়া খুলিয়া বলাৎকার করে। পড়ে দ্বিতীয় আসামী বলাৎকারের চেষ্টা করিলে সাইফুল চিৎকার করিতে থাকে।
সাইফুল এর চিৎকার শুনিতে পেয়ে একই গ্রামের মো: নুর ইসলাম (৬০)৷ আগাইয়া গেলে আসামীরা সাইফুল কে ছাড়িয়া দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়।
তাঁরপর নুর ইসলাম ঘটনাস্থলের পাশে থাকা দাদী মোছা: ফাতেমা বেগমকে ডেকে ঘটনার বিষটি জানালে মোছাঃ ফাতেমা বেগম ঘটনা স্থলে গিয়ে, নুর ইসলাম এর সহায়তায় নাতিকে অসুস্থ অবস্থায়া উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসে।
পরে চিকিৎসার জন্য আদিতমারী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রার্থমিক চিকিৎসা প্রদান করিয়া, লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এই বিষয়ে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মুক্তারুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি আমাদেরকে জানান তাৎক্ষণিক একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।